প্রচ্ছদ > কৃষি >

দেশে খাদ্য মজুদ আছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টন

article-img

দেশে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টন খাদ্য মজুদ আছে। এর পরও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে অতিরিক্ত খাদ্য আমদানি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য রাশিয়া, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে খাদ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি হয়েছে।

গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। 

মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, ‘আমরা যাচাই করেছি রাশিয়া থেকে খাদ্য আমদানি করলে কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না। মিয়ানমার থেকে আতপ চাল আসছে। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ভারত থেকেও চাল কেনার চুক্তি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শুধু এর ওপর নির্ভর না করে বিকল্প হিসেবে আরো কয়েকটি উৎসকে প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে শেষ মুহূর্তে কোনো জটিলতা না হয়। ’

এদিকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আগামীকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করবেন। খাদ্য মন্ত্রণালয় গতকাল জানিয়েছে, দেশে ১৯ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ আছে। 

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গত দু-এক দিনে চালের দাম চার-পাঁচ টাকা কমেছে ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কারণে। ফলে একটা বড় সংকট কেটে গেছে। চলমান কর্মসূচি ভালো ফল দিচ্ছে। তবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি যেহেতু দুই মাস এবং পরবর্তীকালে আরো তিন-চার মাস পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া

হয়েছে, সে জন্য পাঁচ থেকে ছয় লাখ টন খাদ্যশস্যের প্রয়োজন হবে। এ জন্য গুদাম থেকে যে পরিমাণ খাদ্যশস্য যাবে, সেই পরিমাণ চাল সংস্থান করতে চুক্তিও হয়েছে এবং কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছে। 

মন্ত্রিসভার বৈঠকে গতকাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট আইনের খসড়া এবং বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য একটি সহযোগিতা চুক্তির খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।